ভিপিএন কি? ভিপিএন এর সুবিধা

মনেকরুন আপনার পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অফিস আছে এবং সেখানে কম্পিউটার ব্যবহারকারী আছে। তারা প্রত্যেকে একই ভিপিএনএর মাধ্যমে একই নেটওয়ার্কে অবস্থান করতে পারে।

আরেকটু ক্লিয়ার করা যাক। ধরুন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অফিসগুলো একই সফওয়্যার চালাবে এবং এমন কিছু রিসোর্স নিজেদের মধ্যে শেয়ার করবে। আর এ জন্য তাদেরএকই নেটওয়ার্কে থাকা দরকার। ভি্ন্ন ভিন্ন অবস্থানে থাকার কারনে নিজেদের মধ্যে একই নেটওয়ার্ক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সবগুলো জায়গার অফিসগুলো কে তার দিয়ে টেনে নেটওয়ার্ক নিজেদের করা সম্ভব না। তাই ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে আমরা আরেকটা টানেল বানিয়ে নিতে পারি যেখানে নিজেদের কম্পিউটারগুলো কাজ করবে।

তার মানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ককে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) বলে।

আপনি বলতে পারেন যে ভিপিএন এর ঝামেলায় যাব কেন?

আমরা যে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চাই বা যে সব সার্ভিস সবাই মিলে ব্যবহার করতে চাই তার সারভারে পাবলিক আইপি দিয়েই তো কাজ চালাতে পারি? তাই না?

আসলে পাবলিক শেয়ার করে নিরাপত্তা দেওয়াটা বেশ কঠিন একটি কাজ। পাবলিক যে কোন সার্ভিসে হ্যাকাররা কিন্তু সারভারগুলোতে হিট করতে পারবে। আর তাই ভিপিএন ব্যবহার করি।

আরেকটা বেপার আছে। ধরুন,

Data যেতে A   B   C   D   E পথ ব্যবহার করে। এখন এই পথের মধ্য তথ্য প্রবাহের সময়ও তথ্য পরিবর্তন বা হ্যাক করা সম্ভব হতে পারে।

ভিপিএন A থেকে E পর্যন্ত একটা ডাটা পাঠাবে তবে সিকিউলি। আর এজন্য ব্যবহার করবে টানেলিং প্রোটোকলের মাধ্যমে।

আর এই টানেলের মধ্য দিয়ে ডাটা এনক্রিপ্ট করে পাঠায়।

আরো কিছু মজার বেপার আছে। ভিপিএনএর জনপ্রিয়তার জন্য এটাই যথেষ্ট। যদি টানেল বুঝতে পারে যে তারা হ্যাকার আক্রমণ করেছে। সে অন্যপথ দিয়ে তারা ডাটা পাঠাবে।

Leave a Comment