ইসবগুলের ভুসি – উপকারীতা ও ব্যবহার প্রণালী

ইসবগুলের ভুসি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইসবগুলের ভুসি মূলতঃ ইসবগুল বীজের ভুসি।

ইসবগুল গাছ একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মেক্সিকোতে বেশি চাষ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে পানিয় হিসেবে বহুকাল থেকেই

7982015952_674b4e5c34

চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইসবগুলের ভুষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর

ইসুবগুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ উপকারী।

[tutoadsense]

কোষ্ট কাঠিন্য দূর করতে ইসব গুলের ভুসি খাওয়ার নিয়মঃ

কোষ্ট কাঠিন্য দূর করতে প্রতিদিন তিনবার খাওয়ার পর খেতে হবে।

ইসবগুলের ভুসি অল্প পানিতে এক চামচ মিশিয়ে সাথে সাথে খেয়ে ফেলতে হবে। ভিজিয়ে রাখা যাবে না।

ভিজিয়ে রাখলে ইসবগুলের ভুসির কার্যকারিতা থাকবে না। ভুসি খাবারের সাথে মিশে গিয়ে খাবারে আশযুক্ত করবে এবং মলকে নরম করবে।

psyllium-plantago-psyllium_2

পেটে সমস্যা দেখা দিলে  

তিন টেবিল চামচ ভুসি এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার খাওয়া যেতে পারে।

প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাশয় ও অর্শ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

psyllium_seed_husks

পাকস্থলী ঠাণ্ডা বা শীতল রাখতে ইসুবগুলের তুলনা নেই।

কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ওজন হ্রাস ইত্যাদিতে ইসবগুলের ভুসি উপকারী।

পাইলস সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন তিন-চারবার ইসুবগুল শরবত খাওয়া উচিৎ।

যৌনতাঃ

প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ইসব গুলের ভুষির শরবত খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়।

ওজন কমাতেঃ

ইসবগুলের ভুসির সরবত নিয়মিত পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়ক হয়। এটি পেট ভরা ভাব তৈরী করে। তাই খাদ্যগ্রহণের মাত্রা কমে।

তাছাড়া এটি অতিরিক্ত ফ্যাট শোষণ করে অক্ষত অবস্থায় শরীর থেকে বের করে।

সতর্কতাঃ

ডায়েবেটিস রোগিদের ইসুবগুলের ভুসি চিনি ছাড়া খেতে হবে।

কিডনি রুগিদের জন্যও ইসবগুলের ভুসি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিন্ম রক্তচাপের রুগিদের জন্য ইসবগুলের ভুসি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কিছু এলার্জি রুগি এটি সহ্য করতে পারে না। তাদের ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।

Leave a Comment