ভাব-সম্প্রসারনের পদ্ধতি

ছোট আকারের কথা মধ্যে গভীর ভাব ফোটানোই লেখকের কৃতিত্ব । কিন্তু পঠকেক তা খুঁজে বের করতে হয়। ভাব খোঁজার এই কাজটি সহজ কারার জন্যই ভাব সম্প্রসারন । ভাবের ব্যজ্ঞনা ইঙ্গিতের বাইরে এনে ভাব সম্প্রসারণের মাধ্যমে মূল কথা প্রকাশ করাই এর লক্ষ্য।ভাব সম্প্রসারণে ফলে বক্তব্য । বিষয় সহজে পাঠকের কাছে ধরা পড়ে ।এতে বিষের জটিলতা দূর হয়।এবং বক্তব্যের র্মমবুঝতে সক্ষম হয়ে এবং পাঠক বক্তব্যের র্মম বুঝতে সক্ষম হয়্ ।

পদ্ধতি: ভাব-সম্প্রসারণের কাজটি র্সাথক করতে হলে বিশেষ কয়টি নিয়মমেনে চলা দরকার:

  • ১। উদ্ধৃত অংশের ভাব সম্প্রসারন করতে হলে অংশটি মনোযোগ দিয়ে বারবার পড়ে সবটুকু বিষয় বুঝতে হবে । লেখকের রসঘন অর্থবহ রচনার মূল্যবানঅংশ, মানুষেরবহুদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত প্রবাদ এবং কবি গণের ভাব গর্ভ কবিতার উজ্জ্বল পংক্তি ইত্যদি যেসব অংশ ভাব সম্প্রসারনের জন্য দেওয়া হয় তার যর্থাথ র্মম বুঝতে পারলে আলোচনা সহজ হতে পারে । বারবার পড়লে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হবে।
  • ২। ভাব সম্প্রারন করার সময় আসল কথাটি বাড়িয়ে আলোচনা করা দরকার । প্রয়োজনীয় উপমা বা দৃষ্টান্ত বক্তব্য বিষয়কে সহজকরে প্রসারিত করতে হবে । বড় করতে হবে বলে করতে হবে প্রয়োজনীয় যুক্তি দিতে পারলে আলোচনার বিষয় পাঠকের কাছে সহজে ধরা পড়ে।
  • ৩। ভাব সম্প্রসারন করতে মূল অংশটি আলোচনার সাহায্যের যথেষ্ট বাড়াতে হয়।এই বাড়ানোর সময় যাতে অপ্রয়োজনীয় কথা ভিড় না করে সে দিকে বিশেষ লক্ষরাখাতে হবে।বড় করতে হবে বলে আলোচনায় অপ্রযোজনীয় কথা সংযোজন করার দরকার নেই।
  • ৪।আলোচনার সময় এক একটি অনুচ্ছেদ রচনা করতে হবে । সবটুকু অংশ যাতে একাধিক অনুচ্ছেদ ভাগ করা যায় সেদিকে লক্ষরাখা উচিত।
  • ৫।আলোচনাটি যাতে রসহীন মনে না হয় সেদিকে মনোযোগী হতে হবে । সাহিত্যরস থাকলে যেকোন অলোচনা পাঠকেক অনন্দ দেয়।
  • ৬।ভাবের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে ।
  • ৭।সব ধরনের রচনার দুটি দিক থাকে -বক্তব্য ও প্রকাশভঙ্গি।বক্তব্য যদি সুন্দর প্রকাশভঙ্গি লাভ করে তবে তা পাঠকের কাছে সমাদর পায়। ভাব সম্প্রসারন করার সময় লক্ষরাখতে হবে যাতে আলোচনা সহজ সরল ও পূর্ণাঙ্গ হয়।
  • ৮। কাজটি যেহেতু ভাবের বিস্তার তাই কবি বা লেখকের নাম উল্লেখ করার কোন দরকার নেই ।
  • ৯। প্রবাদ -প্রবচনের সঠিক ব্যবহার লেখার তীক্ষতা বৃদ্ধি করে বলে তা গ্রহনযোগ্য।
  • ১০। সম্প্রসারিত লেখার আয়তন হবে প্রদত্ত মান নির্ধারক নম্বর অনুযায়ী। সম্প্রসারণের ক্ষেত্র যথেচ্ছ হওয়া উচিত নয় ।

এসব বিষয় অনুসরন করে লিখলে ভাবের গুটি পোকা আবরন ছিন্ন করে প্রসারণের প্রজাপতি হতে পারে। ভাব সম্প্রসারণের কাজটি দৃষ্টান্ত ও যুক্তির সাহায্যে স্বাধীন বিন্যাস কর্ম । তাই তাকে মৌলিক রচনা বলেদাবি করার যোগ্যতা অর্জনকরতে হবে ।

Leave a Comment