ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং : ভিজ্যুয়াল বেসিক ৬.০ পর্ব – ১

আমরা মানুষরা একে অপরের সাথে বাক বিনিময় ও অন্যান্য কিছু করার জন্য অন্যের বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করি। এ পৃথিবীতে প্রতিটি জাতির জন্য আলাদা আলাদা ভাষা আছে। ঠিক তেমনি কম্পিউটারেরও কিছু বোধ গম্য ভাষা রয়েছে। কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারের এ সকল বোধ গম্য ভাষায় বিভিন্ন নির্দেশ কোড আকারে লেখা হয়। সারিবদ্ধ সুশৃঙ্খল এ নির্দেশাবলি বা কোড রচনাকে প্রোগ্রামিং বলা হয়। দুইটি ইন্টারফেসে প্রোগ্রাম রচনা করা হয়। একটি হলো বর্ণ ভিত্তিক বা character based Interface ইন্টারফেস এবং অন্যটি হলো গ্রাফিক্যাল graphical user interface (সংক্ষেপে GUI) বা চিত্র ভিত্তক ইন্টারফেস। এদের জনপ্রিয়তা কোন অংশেই কম নয়। তবুও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা বিদ্যমান। দু একটি বিষয় D‡jL করলে সুবিধা অসুবিধা সমপর্কে সপষ্ট ধারনা পেতে পারেন। যেমন- character based সিস্টেমে কোড  রাখতে হয়। পক্ষান্তরে GUI এ কোড মুখস্থ বা মনে রাখার কোন ঝামেলা নেই। character based সিস্টেম এ রচিত প্রোগ্রাম ডস সাপোর্টেড সকল ধরণের সফটওয়্যারে সমর্থন যোগ্য- আর এটও এ রচিত প্রোগ্রাম উইন্ডোজ সাপোর্টেড সকল সফটওয়্যারে সাপোর্ট করে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো- character based সিস্টেমটি অপেক্ষাকৃত কঠিন। তাই ব্যবহারকারি ¯^ZtùzZ© ও ¯^v”Q‡›` কাজ করতে সমস্যা হতে পারে। আর এটও সিস্টেমটি সহজ ফলে ব্যবহারকারিরা ¯^ZtùzZ© ও ¯^v”Q‡›` কাজ করতে পারে। GUI সিস্টেম সহজ হবার কারণ হলো এতে কমান্ড বা অন্য কিছু মনে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু মাউস এর ক্লিক এর মাধ্যমেই কাজ সমপন্ন করা যায়। সহজ বিধায় আমরা এখানে এটও সিস্টেমটি নিয়েই আলোচনা করবো। আর প্রোগ্রামিং করবো ভিজ্যুয়্যাল বেসিক এ।

১৯৬৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডার্ট মাউথ কলেজের দুজন অধ্যাপক জন জি কেমেনি ও টমাস ই কার্টজ প্রথম বেসিক ভাষার প্রবর্তন করেন। টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট  এটও এর জন্য বেসিক ভাষার আধুনিক সংস্করন ভিজ্যুয়াল বেসিক তৈরি করে। সহজ ভাষা, অসাধারন ডিবাগিং সুবিধা এবং অ্যাক্টিভ এক্স লাইব্রেরি ব্যবহারের অনন্য সুযোগ ভিজ্যুয়াল বেসিক কে খুব অল্প সময়ের মাঝে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। এর বর্তমান সংস্করন হলো Visual Studio| উইন্ডোজ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হিসেবে এটি বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। আমরা Visual Studio Studio শেখার পূর্বে ভিজ্যুয়াল বেসিক ৬.০ শিখবো। এটি Visual Studio এর আগের ভার্সন। এটা নিয়ে আলোচনার কারণ আছে। কারণটা এখন বলছি না। কয়েকটি টিউটোরিয়াল পড়লে নিজেই বুঝতে পারবেন। ভিজ্যুয়াল বেসিক শিখতে হলে প্রথমে এর গুরুত্বপূর্ন ও প্রয়োজনীয়  বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যে বিষয়গুলো আমাদের সামনে বার বার আসবে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – Project, Form, Command, Module, Object, Event, Event Procedure, Method, Statement, ইত্যাদি। ¯^”Q ধারণা দেবার জন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

প্রজেক্ট: কম্পিউটারের সমস্যা সমাধানের জন্য ভিজ্যুয়াল বেসিকে লেখা সম্পূর্ন প্রোগ্রামকে প্রজেক্ট বলা হয়। একে অন্য ভাবেও বলা যেতে পারে। কোন উইন্ডোজ অ্যাপলিকেশন Build Up করার জন্য ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরিকৃত অথবা কোন সফটওয়্যার কোম্পানি থেকে কেনা ভিজ্যুয়াল বেসিকের অর্ন্তগত সকল ফাইলের সমষ্টিকে একত্রে প্রজেক্ট বলে। একটি প্রজেক্টে একাধিক ফর্ম, ফর্মের কোড, কন্ট্রোল ইত্যাদি থাকতে পারে।

ফর্ম: ভিজ্যুয়াল বেসিকে ফর্মে বিভিন্ন কন্ট্রোল বসিয়ে এর প্রোপর্টিজ সেটিং করে কোড লিখে প্রজেক্ট তৈরি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ফর্মটিই একটি অবজেক্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। একটি প্রজেক্টে অনেকগুলো ফর্ম থাকতে পারে।

অবজেক্ট ও কন্ট্রোল: উইন্ডোজ ভিত্তিক অ্যাপলিকেশন গুলোতে কাজ করার সময় আমরা অনেক গ্রাফিক্যার এলিমেন্ট দেখতে পাই। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি আমরা যখন এমএসওয়ার্ড এর মতো অ্যাপলিকেশনে যে বাটন এবং কমান্ড গুলো দেখতে পাই। এগুলো ভিজ্যুয়াল বেসিকে এগুলো ব্যবহার করার জন্য ফর্ম ও এধরণের গ্রাফিক্যাল এলিমেন্ট তৈরি করে রাখা আছে। টুলস্‌ বক্সে এই টুলস্‌ গুলো পাওয়া যাবে। টুলস্‌ বক্সে বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল অবজেক্ট রয়েছে যা সাধারণত ফর্মে বসিয়ে প্রোগ্রামারদের ইন্টারফেস তৈরি করা হয়। এগুলোকে বলা হয় কন্ট্রোল। ভিজ্যুয়াল বেসিকে প্রোগ্রাম রচনা করার জন্য এসকল অবজেক্ট বা কন্ট্রোল নিয়ে কাজ করতে হয়।

আগামীতে প্রোগ্রাম তৈরির পূর্বে ভিজ্যুয়াল বেসিকের প্রোগ্রামিং এর জন্য বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় আলোচনা করবো। সবাই ভাল থাকবেন। ধনবাদ।