গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে নতুন ইউজারদের করা কিছু প্রশ্নের উত্তর

গুগল অ্যাডসেন্স এর বিশ্বস্ততার কারনে সকলেই এটা পছন্দ করেন। অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ হচ্ছে না তারপরও কিন্তু থেমে নেই। যথা সাদ্ধ্য চেষ্টা করে চলেছেন প্রতি নিয়ত। আর নতুন ইউজার রা অ্যাকাউন্ট পাবার পরও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হচ্ছেন। তারা আমাকে ফেসবুক এ মেসেজ এবং মোবাইল ফোন এবং এসএমএস করে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছেন। এছাড়া ইউজার রা ফেসবুক এর গুগল অ্যাডসেন্স গ্রুপে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করেছেন। তারা হয়তো তাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন বা পাননি। আমার এই পোস্টই মূলত তাদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের সংকলন। এখানে আমি আমার মতো করে তাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করবো। তাহলে আসুন জেনে নেই কি ছিল তাদের প্রশ্ন আর আমার উত্তর-

(১) বাংলা সাইটে কি গুগল অ্যাড দেয়?

উত্তরঃ হ্যাঁ দেয়। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ- টেকটিউন্স। আমি নিজেও বাংলা সাইটে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করি। আর সেখানে ভালো ভাবেই অ্যাড আসে।

 

(২) অ্যাডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে না তবে অ্যাড আসে কিভাবে?

উত্তরঃ অ্যাডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে না এটা সত্য। আর বাংলা ভাষাতে তৈরি সাইটেও অ্যাড দেয় এটাও সত্য। আপনার প্রশ্ন হলো তাহলে কিভাবে দেয়? আসলে আমার যেটা মনে হয়। অ্যাডসেন্স সাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও ভিজিটরের লোকেশনের উপর নির্ভর করেও অ্যাড প্রদর্শন করে। আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন কি না জানি না। বাংলাদেশ থেকে ভিজিট করার সময় বিক্রয় ডট কম, ফেসবুক, গ্রামীনফোন সহ বিভিন্ন ধরণের অ্যাড দেয়। Adword এর বিজ্ঞাপন দাতারা অনেক সময় জিও লোকেশন টার্গেট করে সাইটে অ্যাড দিয়ে থাকে। এজন্য বাংলা সাইটেও অ্যাডসেন্স থেকে অ্যাড দেখা যায়।

 

(৩) বাংলা সাইট দিয়ে অ্যাপ্লাই করলে কি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ আপনি তো জানেনি অ্যাডসেন্স সাপোর্টেড ল্যাংগুয়েজ লিস্টে বাংলা ভাষা নেই। তাই বাংলা ভাষায় তৈরি করা সাইট দিয়ে অ্যাপ্লাই করলে আপনার আবেদন গ্রহন যোগ্য হবে না। অ্যাডসেন্স পাবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। (পরীক্ষিত)

 (৪) বাংলা সাইটে অ্যাড দেখানোর জন্য আমি কি করতে পারি?

উত্তরঃ বাংলা সাইটে অ্যাড দেখানোর পুর্বে আপনাকে একটা ইংরেজি বা অ্যাডসেন্স সাপোর্টেড ভাষায় তৈরি সাইট দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করিয়ে নিতে হবে। তারপর আপনি বাংলা সাইটে অ্যাড দিন। যা সবাই করে।

 

(৫) অ্যাডসেন্স পাবার পর কি কপি পেস্ট করা যাবে?

উত্তরঃ এভাবে আর কতদিন? অন্যের কন্টেন্ট কপি পেস্ট না করে ঐ বিষয়টা নিয়ে নিজে ভেবে আপনার মত করে তৈরি করুন তাহলে দেখবেন সম্পুর্ন ইউনিক হয়ে গেছে।

 

(৬) কপি না করে যদি টাইপ করে দেই তাহলে কি ইউনিক হবে?

উত্তরঃ পরীক্ষায় নকল করা বলতে আপনি কি বুঝেন? যারা এমন প্রশ্ন করেন তারা অবশ্যই এটার উত্তর কমেন্ট দেবেন।

 

(৭) ১০/১৫ টা পোস্ট দিয়ে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ আপনার পোস্ট দেওয়া কি এখানেই শেষ? এরপর কি আর পোস্ট দিবেন না? যদি দেন তাহলে দিতে থাকুন পোস্ট বেশি হলে অ্যাডসেন্স পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই নয় কি?

 

(৮) পোস্ট  গুলোর কত শব্দের হতে হবে?

উত্তরঃ যত বড় করা যায়। ৪৫০-৫০০ বা এর বেশি হলে ভাল হয়।

(৯) একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কতটি সাইটে অ্যাড ব্যবহার করা যাবে?

উত্তরঃ একটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫০০ সাইট ম্যানেজমেন্ট করা যায়। আর অসংখ্য সাইটে কোড ব্যবহার করা যায়।

(১০) রেভনিউ শেয়ারিং সাইট  দিয়ে অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করালে কি আমার আর্নিং থেকে কেটে রাখবে?

উত্তরঃ এটা আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে। এটা কাটবে শুধু ঐ রেভেনিউ শেয়ারিং থেকে আয়ের অংশ আপনার এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে নিজের সাইট থেকে আয়ের নয়। তাই নিজের সাইট থেকে যা আয় হবে তা কারো সাথে শেয়ার করতে হবে না। আপনি যদি শেয়ারিং সাইট আর ব্যবহার না করেন তাহলে তো কাটাকাটির কোন প্রশ্নই আসে না।

এই ছিল কিছু প্রশ্ন আর উত্তর। এখানেই শেষ নয়। আরও অনেক প্রশ্ন আছে। যেগুলো পরবর্তিতে আপনাদের জানানো হবে। আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানান। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Comment