ইন্টারনেটে আয়েরআগে সাতটি শর্ত, অতঃপর আয

ইন্টারনেট আবিস্কারের পর থেকে এখন
পর্যন্ত প্রযুক্তিগত যত উন্নয়ন হয়েছে,
হচ্ছে এবং সামনেও হবে শুধুমাত্র এর ভাল
দিকটির ব্যবহারের কারণে। কারণ
প্রতিটি আবিষ্কারের ভাল এবং মন্দ
দুটি দিক আছে। সেই ভাল মন্দের ধারাবাহিকতা ইন্টারনেটও হাঁটছে!
অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের দেশেও
ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যতিক্রম নয়।
তবে লক্ষণীয় বিষয়, বিশেষ করে আমাদের
দেশে গত কয়েক বছরে প্রায় ৩ গুনেরও
বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে। এটাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে। কারণ,
প্রযুক্তি পণ্যের অপ্রতুলতার, ধীর গতি ও
উচ্চ মূল্যের ইন্টারনেট
এবং ইলেক্ট্রিসিটি এর বাঁধার
মধ্যে থেকেই আমাদের দেশের তরুণরা নিজ
চেষ্টায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের। এরপরেও আমরা সফল হচ্ছি। কিন্তু… ! বর্তমান সময়ে আমরা বা আমাদের তরুণ
সমাজ যেভাবে ইন্টারনেটের
সাথে মিশছে তাতে প্রতি ১০০ জনের
মধ্যে গড়ে খুব বেশি হলে ২০-৩০ জন আসছেন
সময়ের সাথে নিজেদের যোগ্যতা অর্জন
করে ভাল কিছু করে, জেনে এবং নিজের প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের সাথে সমন্বয়
রেখে। আর বাকিরা আসছেন অপরিণত
মস্তিষ্ক নিয়ে “ইন্টারনেটে আয়” নামক
সোনার হরিণ খুঁজতে। হয়তো অনেকের
মনে প্রশ্ন আসবে। সবাইতো করে এতে নতুন
করে প্রবলেম কি? হ্যাঁ, প্রবলেম অবশ্যই আছে। কারণ, অপরিণত জ্ঞান নিয়ে যত আয়ের
পিছনে ছুটবে তাঁর ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের
জন্য সেটা হবে অনেক “বড় ভুল”!
আবারো বলবেন কেন ভুল? হ্যাঁ, অবশ্যই “বড়
ভুল”! কারণ, আপনি অপরিণত জ্ঞান
নিয়ে মার্কেটপ্লেসে চলবেন, সেখানে আপনি যা চাইবেন
সেটা করতে পারবেন না। ভুল বসত যদি কোন
কাজ পেয়েও জান, তবে সেটা ভাল মত
না জানার কারণ প্রপার্লি সাবমিট
করতে পারবেন না। ফলে একদিকে নিজের
ক্ষতি অন্যদিকে দেশের রেপুটেশন খারাপ করলেন। আর অনেক প্রবলেমই আপনি পরবেন।
সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করবো না
কারণ আমি শুধু
টেকনিক্যালি আলোচনা করবো কিভাবে একজন
নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে আয়ের
পিছনে ছুটবেন। এবং অবশ্যই সেটা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। তো চলুন মূল
আলোচনায়…
১. কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার শিখুন: আমাদের মধ্যে অনেকেই, বলতে গেলে প্রায়
৭০ শতাংশের বেশি কম্পিউটার ইউজার
আছেন যাদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান
নেই কম্পিউটার সম্পর্কে। তাঁদের
কম্পিউটারের উপরে কোন সার্টিফিকেট
কোর্স করা নেই। আমি বলছি না এটা খারাপ কিছু। অবশ্যই বাহবা পাবার যোগ্য।
বলা যায়, এরওর দেখে বিশেষ করে বন্ধুদের
দেখে কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
এভাবেই একসময় নিজের কাছে কম্পিউটার
চলে আসে। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে না শিখেন
কিন্তু আপনাকেতো মান সম্পন্নভাবে জানতে হবে, তাই নয় কি।
নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,
আমার পরিচিত এমন অনেকেই আছেন
যারা কম্পিউটারের এক্সপার্ট তবে, এমএস
ওয়ার্ড অ্যাপ্লিকেশান সফটওয়্যারে বিজয়
বাংলা এবং ইংরেজি টাইপ করতে পারেন না। বিজয় বাংলা এবং ইংরেজি কেন
বলছি সেটা অবশ্যই
বলে দিতে হবে না আমাকে। অথচ
তিনি এক্সপার্ট!!! কম্পিউটারে বিজয়
বাংলা এবং ইংরেজি টাইপ
করতে না পারার কারণে নিজের সামান্য নোট তাকে অন্যকে নিয়ে করায় নিতে হয়।
তাহলে, আপনার কম্পিউটার জ্ঞানের শুরুটাই
তো ঠিক মত হল না!!
আপনি যদি লিখা লিখি করে আয় করতে চান
পারবেন?
২. ইন্টারনেটের ব্যবহার: বর্তমান মডার্ন যুগে সবাই ইন্টারনেট
চালায়। তরুণ সমাজকে ইন্টারনেটে আকৃষ্ট
করার মূল জিনিসটাই হচ্ছে ফেসবুক! ভুল
বললাম কি? 😉 যাদের পিসি নাই
তাঁরা দিব্বি মোবাইল ফোন নিয়ে ফেবু
চালায়। আহ কি শান্তি! কিন্তু, যারা পিসি ইউজ করেন তাঁরা শুধু ফেসবুক
নিয়েই ক্ষান্ত। এই টাইপ এর তরুণদেরই
ইন্টারনেটে আয় করার ঝোঁক বেশি। ভালই,
খারাপ কি! কিন্তু, তাঁদের একবার বলুন,
আপনাকে একটু ডকুমেন্ট এটাচ করে মেইল
করতে। বেশির ভাগই পারবে না!!! এটাচতো দূরের কথা তাঁরা কখনও মেইল
ইনবক্স খুলে দেখে না। বিশ্বাস হয় না?
আপনার পাশে এমন টাইপ এর
কাউকে পেলে ট্রাই করে দেখুন, প্রমাণ
মিলবে। এবার যদি বলেন, ইন্টারনেট
থেকে কোন কিছু খুঁজে(Search) দিতে। অনেকেই “গুগল”-কে বলবে “গুগলি” বলতে।
এরপরও সার্চ
করতে দিয়ে আমতা আমতা করবে। আচ্ছা ধরুন,
আপনি পিসি আর নেট কানেকশন
হাতে পেয়েছেন ২ মাস হল। এর মধ্যেই আয়
করবেন বলে বদ্ধ পরিকর হলেন। ধরুন আপনি ওয়েব রিসার্চের কাজে বিড দিলেন।
ভাগ্যক্রমে কাজও পেলেন (মনে রাখবেন:
আপনি পুঙ্খানুপুঙ্খ কাজ না জানলে অভিজ্ঞ
বায়ার থেকে কাজ কোন দিনও পাবেন না।)
এবার বুঝতে পারছেন
না কিভাবে কাজটি করবেন। আপনার দৌড়ানোর কাজ শুরু। এবার জ্বালাতন করবেন
এরেওরে। ভাই কিভাবে কাজ করবো,
বায়ারের কথা বুঝি নাই আর অনেক কিছুই। আমার কথা গুলো খারাপ শুনালে কিচ্ছু বলার
নাই আমার, শুধু মনে রাখবেন।
আপনি যাকে ডিস্টার্ব করবেন সেও কিন্তু
একজন ইন্ডিপেনডেন্ট ফ্রীলান্সার। আপনার
অক্ষমতার জন্য কেন সে আপনাকে সময় দিবে?
আপনাকে তো কাজ শিখতে কেউ মানা করে নাই। তাহলে কেন কাজ
না শিখে কাজ নিয়ে অন্যকে জ্বালাবেন?
৩. ইমেইল, মেসেঞ্জার এর ব্যবহার শিখুন: উপরে ইন্টারনেটের ব্যবহার
সম্পর্কে বলেছি। দেখুন,
আপনি ফ্রীলান্সিং করবেন কিন্তু ইমেইল,
মেসেঞ্জার এর সঠিক ব্যবহার জানবেন
না তাহলে কিভাবে বায়ারের
সাথে যোগাযোগ রাখবেন। ফ্রীলান্সিং জগতে ইমেইল এবং মেসেঞ্জার
এমন ২টি পথ যেগুলো ব্যবহার
না করতে পারলে আপনি কখনও বায়ার
ধরতে পাবেন না। তাই আমি রিকমেন্ড
করবো যারা এখনও বিগেনার আছেন, ইমেইল
করা, ইমেইল এ ফাইল আটাছ করা। ইয়াহু, স্কাইপ, জিটক মেসেঞ্জার এর ব্যবহার
শিখুন। নিজে না বুঝলে কিভাবে আসবের ইউজ
করতে হয় নেটে সার্চ দিন “How to use
Yahoo/ Gtalk/ Skype messenger”
লিখে। হাজার হাজার অডিও, ভিডিও
টিউটোরিয়াল পাবেন। দেখুন, নেটে এসব সার্চ করতে হলে কিন্তুই আপনাকে অবশ্যই
“ইন্টারনেটের ব্যবহার” জানতে হবে।
৪. ধৈর্য ধারণ করুন: ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং সময় এসব কিছু
ফ্রীলান্সিং এর পূর্বশর্ত। এই
গুনগুলো আপনার
মাঝে না থাকলে বা না আনতে পারলে
আপনার জন্য ফ্রীলান্সিং নয়। কারণ,
আপনি চাইলেই একদিনেই একাউন্ট সাইন-আপ করেই কাজ পাবেন না। নিজে বুঝুন
আগে কোথায় কি করতে হবে,
না বুঝলে ফ্রীলান্সিং নিয়ে অনেক গ্রুপ-
ফোরাম এবং ফেসবুক পেজ
আছে সেখানে জয়েন করুন। আপনাদের
প্রবলেম গুলো বলুন। কেউ না কেউ অবশ্যই হেল্প করবে। তবে মনে রাখবেন। কোন
সল্যুশন পেতে অস্থির হবেন না। আপনার
প্রবলেম এর সল্যুশন সাথে সাথেই পাবেন
এমনটা আশা করুন বোকামি।
আমি এখানে আমার নিজের অফিসিয়াল গ্রুপ
এবং পেজ এর লিঙ্ক দিয়েছি। আপনারা নির্দ্বিধায় জয়েন করতে পারেন।
সাধ্যমত সহায়তা করতে চেষ্টা করবো। 🙂
৫. অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনা করুন: উপরে বলেছিলাম “আপনি যাকে ডিস্টার্ব
করবেন সেও কিন্তু একজন ইন্ডিপেনডেন্ট
ফ্রীলান্সার। আপনার অক্ষমতার জন্য কেন
সে আপনাকে সময় দিবে? আপনাকে তো কাজ
শিখতে কেউ মানা করে নাই। তাহলে কেন
কাজ না শিখে কাজ নিয়ে অন্যকে জ্বালাবেন?”
আসলে বেপারটা খারাপ শুনালেও
বেপারটা এমন: আপনি নতুন সেটা একজন
অভিজ্ঞ ফ্রীলান্সার এর সাথে কথা বললেই
তিনি বুঝবেন। তার সাথে আপনার সকল
প্রবলেম গুলো আলোচনা করুন। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই তার অবসর সময়ে। তার
থেকে জেনে নিন, তিনি কখন অবসর থাকেন।
নয়তো, তাকে ইমেইল করুন না আপনার সব
প্রশ্ন গুলো। তিনি অবশ্যই আপনাকে সদুত্তর
দিবেন যতদ্রুত সম্ভব।
একটা কথা মনে রাখবেন বেশিরভাগ ফ্রীলান্সাররা মুক্ত মনের অধিকারী।
তারা চান অন্যকে সহায়তা করতে। কিন্তু,
বিগেনারদের তাড়াহুড়োর
কারণে তারা এখন দিকনির্দেশনা দিতে ভয়
পান। কোন মতেই অভিজ্ঞদের সাথে দীর্ঘ
সময় আলোচনায় যাবেন না। এতে, আপনারই লস হবে। কারণ, কথা পিঠে অনেক কিছুই
আলোচনা বহির্ভূত বিষয় চলে আসবে।
এতে আপনি যে উদ্দেশে তার কাছে আসলেন
সেটার কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটবে। ৬. ফ্রীলান্স মার্কেটপ্লেস+ আপনার
পছন্দের কাজগুলো চিনুন: অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনার একটা বিষয়
এটা হতে পারে। আপনি কিভাবে মার্কেট
প্লেস চিনবেন। কোনটা আপনার জন্য ভাল
হবে। কি কাজ আপনি করতে পারবেন আসব
নিয়ে। লক্ষ করুন, সারা বিশ্বে অনেক
রেপুটেড ফ্রীলান্স সাইট আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: oDesk.com,
Freelancer.com, eLance.com,,
vWorker.com ইত্যাদি। এদের
সম্পর্কে আমার লিখা দৈনিক সমকালের
ফিচার থেকে সংক্ষেপে কিছু লিখা দিলাম
নিচে: ফ্রীলান্সার.কম: নিউ সাউথ ওয়েলস,
সিডনী-তে অবস্থিত ফ্রীলান্সার.কম
সাইটটি গেট-এ-ফ্রীলান্সার.কম
নামে যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালে।
পরবর্তীতে ২০০৯ অস্ট্রেলিয়ান
কোম্পানি Ignition Networks ৭ই মে ২০০৯ সালে গেট-এ-ফ্রীলান্সার.কম
কে কিনে নেয় এবং সেই বছরের অক্টোবর
মাসে সাইটটির নাম পরির্তন করেন নাম
কর হয় বর্তমান ফ্রীলান্সার.কম। সাইটটির
সিইও হিসেবে আছেন Matt Barrie.
সাইটটিতে বর্তমানে ৩২, ৩৫,২২০ জনেরও বেশি সংখ্যক মানুষ
১৪,৮৭,৬৯৮টি প্রোজেক্টে কাজ করেছেন
বায়ার এবং প্রোভাইডার হিসেবে এবং এই
নিউজটি লিখার মুহুর্ত পর্যন্ত সর্বমোট অর্থ
আয়ের পরিমান ১২,০৩,৯৩,৬০০ ডলার।
সাইটটিতে আপনি একই সাথে কাজ করতে এবং আপনার কাজ অন্যদের
দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন।
বর্তমানে সাইটটিতে আপনি ঘণ্টা ভিত্তিক
এবং বরাদ্দকৃত(Fixed) মূল্য ওয়েব ডিজাইন
ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন,
সফটওয়্যার ডিজাইন, আপ্লিকেশন ডিজাইন সহ আর ২০০ এর উপরে বিভিন্ন
ক্যাটাগরিতে অজস্র কাজ পাবেন।
সাইটটির ঠিকানা: https://
www.freelancer.com ওডেস্ক.কম: ফ্রীলান্সার.কম এর
মতো ওডেস্ক-ও বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয়
ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেস। ২০০৩
সালে রেড সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া-
তে ওডেস্কের কার্যক্রম শুরু হয়। ওডেস্কের
সিইও হিসেবে আছেন Thomas Layton. ওডেস্কেও কাজের ধরন ২টাঃ ঘণ্টা ভিত্তিক
এবং বরাদ্দকৃত(Fixed) মূল্য। মূলত:
ওডেস্কের থেকেই ফ্রীলান্সার.কম তাদের
কর্মসূচীতে ঘণ্টা ভিত্তিক কাজ করানোর
প্রক্রিয়া চালু করে। ওডেস্কেও
আপনি বিভিন্ন বিভাগের আওতায় কয়েক লক্ষাধিক কাজ পাবেন।
এখানে ঘণ্টা ভিত্তিক কাজের
টাকা আপনি আপনার ওডেস্ক সফটওয়্যারের
রেকর্ড অনুযায়ী কাজ শেষে পাবেন।
তবে নির্ধারিত(ফিক্সড) মূল্যের কাজের
টাকার পেমেন্ট গুলোর কোন গ্যারান্টি পাবেন না।
সেটা আপনি প্রোজেক্ট এর বিড প্লেস করার
আগেই জানানো হয়। উইকিপিডিয়ার
তথ্যমতে সাইটটিতে এখন পর্যন্ত প্রায়
২,০০,০০০ এর বেশি বিভিন্ন দেশের মানুষ
বায়ার এবং প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করছেন। এই সাইটটিতেও আপনি একই
সাথে কাজ করতে এবং আপনার কাজ অন্যদের
দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন। সাইটটির
ঠিকানা: https://www.odesk.com ভিওয়ার্কার.কম: বর্তমান
ভিওয়ার্কার.কম মূলত রেন্ট-এ-কোডার.কম
এর নতুন সংস্করণ। ২০০১ সালে থাম্বা,
ফ্লোরিডা-তে সিইও ইয়ার ইপলিটো এর হাত
ধরে রেন্ট-এ-কোডার.কম(বর্তমান
ভিওয়ার্কারের) যাত্রা শুরু হয়। সাইটটি মূলত যাত্রা শুরু করে Craigslist
বিজ্ঞাপন জাতীয় কাজ দ্বারা।
বর্তমানে এই ধরনের কাজের সাথে ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ্লিকেশন
ডেভেলপমেন্ট, ডাটাবেজ ডিজাইন সহ
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কয়েক লক্ষাধিক কাজের দেখা মিলে।
সাইটটিতে বর্তমানে বায়ার
এবং প্রোভাইডারের সংখ্যা মিলে দাঁড়ায়
৫,৩৩,০১০ জন। ফ্রীলান্সার এবং ওডেস্কের
মতো এই সাইটটিতে আপনি একই
সাথে বায়ার এবং প্রোভাইডারের ভূমিকা পালন করতে পারবেন না।
দুটি ভূমিকায় কাজ
করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ২টি একাউন্ট
থাকতে হবে। সাইটটির ঠিকানা: https://
www.vworker.com অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি: সাইটগুলোতে কাজ
করে বাংলাদেশের
প্রেক্ষাপটে টাকা হাতে পাওয়াটা কিছুটা
কষ্টকর হলেও আমাদের দেশের তরুণরা কাজ
করা থেকে পিছিয়ে নেই।
বর্তমানে প্রতিটি ফ্রীলান্সিং সাইট-ই আন্তর্জাতিক ডেবিট মাস্টার কার্ড
দিয়ে অর্থ উত্তোলনের সুবিধা দেয়,
সাথে মানিবুকার্স, পেপাল
এবং ওয়েবমানি ট্রান্সফার এর
মাধ্যমে সামান্য কিছু চার্জ দিয়ে নগদ
অর্থ দেশের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে হাতে আনা যায়। ৭. অতঃপর আয়: অপরের প্রতিটি স্টেপ কোন না কোন
ভাবে আপনাকে মানতেই হবে। ধৈর্য
নিয়ে নিয়ে কিছু পথ পাড়ি দিতে পারলেও
সপ্তম পথে এসে আপনাকে এর পথ
হাতড়াতে হবেনা।
আপনাকে টাকা খুঁজতে হবেনা, টাকা আপনাকে খুঁজবে। মার্কেটপ্লেস
গুলো চিনার সাথে সাথে আপনার পছন্দের
কাজ শিখুন। যে কাজে আপনি কমফোর্ট পাবেন
সেই কাজ করুন। অন্যের বুঝায়
দেয়া কাজে যদি নিজে মন থেকে পছন্দ
করতে না পারেন তবে ভুলেও সেই কাজে পা বাড়াবেন বা।
আপনি যে কাজটি পছন্দ করবেন,
সেটি যদি ছোট কাজও হয় তবে সেটি নিয়েই
শুরু করুন না। কাজ করবেন, আয় করবেন
সাথে নিজেকে প্রতিনিয়তই ডেভেলপ
করবেন প্রযুক্তির সাথে। তাহলে আপনার ফ্রীলান্স জগত অনেক সহজ হবে।
| আমার সাইট |

1 thought on “ইন্টারনেটে আয়েরআগে সাতটি শর্ত, অতঃপর আয”

  1. ভাই, আপনার প্রথম পয়েন্ট, “বিজয় বাংলা এবং ইংরেজি” টাইপ কথাটা বারবার দেখলাম, বিজয় দিয়ে বাংলা টাইপ তো বুঝলাম, কিন্ত ইংরেজির সাথে বিজয়ের সম্পর্কটা বুঝায়ে বলবেন? আর ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন যেসব সাইট আছে, তাতে যারা কাজ দেয় তারা কত পার্সেন্ট বাংলা ভাষার এবং বাংলা টাইপিং এর কাজ কতটুকু সেটা একটু উদাহরণ সহ বলবেন?

Leave a Comment