কেমন আছেন সবাই । আশাকরি আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে ভালই আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালই আছি । আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর টিউটোরিয়ালের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি । আজ আমি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর টিউটোরিয়ালের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করবো ।
আমরা এতদিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন টিউটোরিয়াল নিয়ে আলোচনা করেছি । আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে ‘সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন’ এর অনেক গুলো ধাপ রয়েছে যেমন, কিওয়ার্ড, সাইটম্যাপ, লিঙ্কবিল্ডিং, ফোরাম পোস্টিং, সোশ্যাল বুকমার্ক ইত্যাদি যা আমরা পূর্ববর্তী টিউটোরিয়ালগুলোতে আলোচনা করেছি । তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কিছু অবৈধ পদ্ধতিও রয়েছে যা ‘ব্ল্যাক হ্যাট এসইও’ নামে পরিচিত । এসব অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে সাময়িক ভিজিটর পেলেও ভবিষ্যতে তা বিপরীত প্রতিক্রিয়া করে ।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও গুলোর মধ্যে রয়েছে;
- ওয়েব পেইজ এ ভিজিটর আনার জন্য অন্য সাইটের একটি জনপ্রিয় আর্টিকেল কপি করে সাইটে প্রকাশ করা ।
- ওয়েবপেইজের কন্টেন্ট এর সাথে সার্চ ইঞ্জিন এর মিল না থাকা ।
- ওয়েব পেইজকে গুগল এর প্রথম পেইজ এ আনার জন্য একটি আর্টিকেল লেখার সময় অতিরিক্ত মাত্রায় কিওয়ার্ড ব্যবহার করা ।
- কোন আর্টিকেল লেখার সময় কিওয়ার্ড এমন ভাবে বসানো যে ব্যাকগ্রাউন্ড কালার এবং কিওয়ার্ড এর টেক্সট কালার একই রকম । অর্থাৎ, আপনার সাইটের জন্য একটি আর্টিকেল লিখলেন, সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড কালার এবং কিওয়ার্ড এর কালার একই ব্যবহার করলেন । এক্ষেত্রে, ভিজিটর আপনার ব্যবহৃত কিওয়ার্ড দেখতে পারবেন না ।
সর্বদা, এসব অবৈধ পন্থা বাদ দিয়ে সাইটের এসইও করতে হবে ।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার টিউটোরিয়ালটি পড়ার জন্য । ভাল থাকুন ।
আগামী পর্বে থাকছে; এসইও টুলবার