সাপোর্টের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন

বাংলাদেশের বিভিন্ন সাপোর্ট সেন্টারগুলোর ভাল সার্ভিসের প্রচলন না থাকলেও বর্তমানে কিছু প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের সাপোর্ট প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছে।  সাপোর্ট সেন্টারগুলোর সেবার মানের বেপারে অবশ্য কথা বলতে আসি নি, পোষ্টটি মূলতঃ প্রযুক্তি সেবাদানকারী সাপোর্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি আর সেটা কিভাবে তা-ই আলোচনার বিষয়বস্তু।

ফোন সাপোর্ট থেকেঃ

ধরা যাক আপনি একটি স্মার্টফোন কিনেছেন এবং জানেন না যে কিভাবে এটাতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন। আপনি যে প্রতিষ্ঠানের সিম ব্যবহার করছেন তাদের সাপোর্ট সেন্টার ফোন করে যদি বলেন, “স্যার, আমি এন্ড্রয়েড ফোনে কিভাবে আপনাদের ইন্টারনেট চালু করবো?” তাহলে তারা আপনাকে পদ্ধতিটি বলে দিবে। ভাল সাপোর্ট সেন্টার শুধু মাত্র টেকনিক্যাল সেবা-ই প্রদান করে না, তারা হতে পারে আপনার জ্ঞানের উৎস। কিন্তু আপনাকে সেই সেবাটি নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।

সাপোর্ট ফোরামঃ

অনেক আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ফোরাম রয়েছে। আপনি যদি মনে করেন- উক্ত বিষয়ে আপনার জানার আছে। আপনি সেই ফোরামে অংশগ্রহণ করুন। ফোরামে প্রথমেই সমস্যা পোষ্ট না করে অন্যের বিষয়গুলোতে নিজের মতামত প্রকাশ করে এবং পরিচয় হয়ে নিন। আপনার পণ্য বা সেবাগত কোন বিষয় উক্ত ফোরামে বিস্তারিত লিখতে পারেন। প্রয়োজনে অন্যদের ফোরাম পোস্টগুলো দেখে নিতে পারেন। সব চেয়ে ভাল একই ধরনের পোস্ট অন্য কেউ করে থাকলে তা থেকে শিখে নেওয়া।

সাপোর্ট টিকেটঃ

সার্ভিস ভিত্তিক বেশিভাগ সেবাদান কারী প্রতিষ্ঠান যেমন মোবাইল, ইন্টারনেট, ডোমেইন হোস্টিং, সফটওয়্যার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে সাপোর্ট টিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। আপনি একটু কষ্ট করে সেখানে আপনার সমস্যাটি লিখে জমা দিলে তারা সমাধানের ব্যবস্থা নিবেন। তাছাড়াও সেখান থেকে বেশ কিছু বিষয় শিখে নিতেও পারেন। অনেক কিছুই সাপোর্ট ব্যক্তির এখতিয়ারের বাইরে থাকতে পারে, প্রাইভেসির কারনে বা অন্য কোন কারনে কাজটি আপনাকেই করতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাপোর্টের সহযোগিতায় আপনি নিজেই সমাধান করে নিতে পারেন।

ধারা যাক আপনি কোন একটি মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস আপগ্রেড করতে চাইছেন। তারা আপনাকে কোন এসএমএস করতে বলতে পারে। কোন একটি অনলাইন সার্ভিসের জন্য অনলাইনে অর্ডার করতে বলতে পারে, যা আপনাকেই করতে হবে। অনেক সমস্যাও আপনাকে শিখে নিয়ে সমাধান করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে পদ্ধতিটি জেনে নিতে পারেন।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের সাপোর্ট ফোরাম/টিকেটে প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল ব্যক্তি সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক সময় আপনার সমস্যাটি সবাধানের জন্য আরো কিছু তথ্য জানার দরকার হতে পারে।  সম্ভাব্য  প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সাপোর্ট টিকেট জমা দিন। তার প্রত্যুত্তরে নিয়মিত নজর রাখতে হবে।

সাপোর্ট ব্যক্তির সাথে যা করবেন /করবেন নাঃ

সাপোর্ট প্রদানকারীর সাথে আবেগাপ্লুত হয়ে বা রেগে কথা বলে কোন লাভ হবে না। কারন আপনার আবেগের মূল্য তার কাছে নেই। তাকে সব সময় সমস্যা নিয়ে থাকতে হয় এবং তাই এটা তার কাছে স্বাভাবিক কাজের অংশ।

প্রথমে আপনার পরিচয় দিন, এবং কোন সার্ভিস ব্যবহার করেন তা বলুন। তার পর সমস্যাটি বলুন। প্রথমে আপনার সার্ভিস এবং পরিচয় না দিলে সমস্যাটি বুঝতে সমস্যা হতে পারে।

সাপোর্ট অফিসারগণের পেমেন্ট অনেক সময় আপনার ফিডব্যাকের উপরে নির্ভর করে। কল সেন্টারের সাপোর্ট স্টাফদের পেমেন্ট অনেক সময় কথা বলার সময়ের বা টিকেটের উত্তরের উপরেও নির্ভর করে। আর তাই সম্ভব হলে তারা আপনাকে বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করবে। আর তাই তাদের সাপোর্ট ভাল লাগলে ভাল ফিডব্যাক দিতে ভুলবেন না।

আজ এ পর্যন্তই । ভাল থাকুন।

1 thought on “সাপোর্টের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন”

Leave a Comment