ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা কি? প্রচলিত নীতিবিদ্যার সাথে ব্যবহারিক নীতবিদ্যার পার্থক্য

ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা কি? প্রচলিত নীতিবিদ্যার সাথে ব্যবহারিক নীতবিদ্যার পার্থক্য আলোচনা কর।

উত্তর:
ভূমিকা ঃ-

মানুষের আচরনের বিশেষ করে ঐচ্ছিক আচরনের বিশদ পর্যালোচনা ও মূল্যায়নই হচ্ছে নীতিবিদ্যা। নীতিবিদ্যার ইতিহাস মানুষের ইতিহাসের মতই প্রাচীন এবং গতিশীল। সময় এবয় যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে নীতিবিদ্যার আলোচনা এবং পরিধি ব্যপকতা লাভ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সামপ্রতিক কালে এক ধরনের নীতিবিদ্যার উদ্ভব হয় যার নাম ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা। ব্যবহারিক নীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের সাবেক অধ্যাপক এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হিউম্যান বায়ো-এথিক্স এর ডেপুটি ডিরেক্টর পিটার সিঙ্গার। পিটার সিঙ্গারের বিখ্যাত ও আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ হচ্ছে Practical Ethics যা ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়। এখন আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা কি এবং “Peter Signer” এর প্রচলিত উপযোগবাদ বা সুসংহত উপযোগবাদ।

[tutoadsense]

ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা ঃ-

যে নীতিবিদ্যা প্রচলিত নীতিবিদ্যার বিষয়বস্তু আলোচনায় মানুষ এবং মানুষের নিকটবর্তী সমগুন সম্পন্ন অন্যান্য প্রাণীকেও অন্তর্ভুক্ত করে তাকে ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা বলে। পিটার সিঙ্গার বলেন, ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা আমাদের ব্যবহারিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। তবে আমাদের সকল ব্যবহারিক সমস্যাই ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত নয়।

ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা প্রসঙ্গে পিটার সিঙ্গার-

ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার েেত্র পিটার সিঙ্গার একটি স্মরণীয় নাম। ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা প্রসঙ্গে পিটার সিঙ্গার তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “Practical Ethics” এর প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করেন। এখানে তিনি নীতিবিদ্যাকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে আলোচনা করেন। যথা ঃ-

১। নীতিবিদ্যা যা নয়; এবং
২। নীতিবিদ্যা কি: একটি অভিমত।

[tutoadsense]

নিম্নে এই সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ঃ-

১। নীতিবিদ্যা যা নয় ঃ-

এই অংশে সিঙ্গার নীতিবিদ্যাকে দুটি দৃষ্টিভঙ্গিতে আলোচনা করেন। এদের একটি হলো নীতিবিদ্যা সম্পর্কে আধুনিক মানুষের মত এবং অপরটি হলো নীতিবিদ্যা সম্পর্কে প্রলিত নীতিবিদদের সমালোচনা। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

নীতিবিদ্যা সম্পর্কে আধুনিক মানুষের মত ঃ-

নীতিবিদ্যা সম্পর্কে আধুনিক মানুষ যা মনে করেনতা সিঙ্গার অতি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন :

প্রথমত; আধুনিক মানুষ নীতিবিদ্যাকে সেকেলে বলে মনে করে। ফলে, নীতিবিদ্যার দ্বারা কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই নীতিবিদ্যার আলোচনা নিষ্ফল।

দ্বিতীয়ত; আধুনিক মানুষ নীতিবিদ্যাকে সংকীর্ণ অর্থে গ্রহণ করে এবং তাদের ধারণা নীতিবিদ্যা হচ্ছে নিষেধ শাস্ত্রের বাণী যা মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করে। যেমন- এটা করো না, ঐটা করো না প্রভৃতি।

তৃতীয়ত; আধুনিক মানুষ নীতিবিদ্যাকে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করে না। তাই তারা মনে করে যে, নীতিবিদ্যায় যদি কোন নিয়ম ব্যর্থ হয় তাহলে এই ব্যর্থতা হচ্ছে সমস্ত নীতিবিদ্যার ব্যর্থতা।

[tutosubscribe]

সিঙ্গার কতর্ৃক নীতিবিদ্যা সম্পর্কে প্রচলিত নীতিবিদদের ব্যাখ্যা বর্জন ঃ-

এই অংশে সিঙ্গার প্রচলিত নীতিদার্শনিকদের মতামত সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং তা নিম্নলিখিত চারটি উপায়ে বর্জন করেন:

প্রথমত; সিঙ্গার মনে করেন যে, যৌনতা আদৌ নীতিবিদ্যার েেত্র বিশেষ কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না। তাই তিনি নীতিবিদ্যায় যৌনতা বিষয়ক আলোচনাকে গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্তের মত বলে উল্লেখ করেন। কারণ, তাঁর মতে নীতিবিদ্যায় যৌনতা বিষয়ক সমস্যার চেয়ে আরো অধিকতর সমস্যা রয়েছে।

দ্বিতীয়ত; প্রচলিত আনেক নীতিদার্শনিক নীতিবিদ্যাকে তাত্তি্বকভাবেই উপস্থাপন করেন। কিন্তু সিঙ্গার মনে করেন যে ব্যবহারিক দিক অবশ্যই থাকার প্রয়োজন আছে। কারণ তাত্তি্বকভাবে কোন মতবাদ যতই ভাল হউক না কেন তা যদি মানুষের ব্যবহারিক দিক থেকে মানসন্মত না হয় তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সিঙ্গার এ ব্যপারে পরিনাম বা উদ্দেশ্যবাদীদের কথা উল্লেখ করেন।

তৃতীয়ত; ঈশ্ব্রবাদীদের অনেকে মনে করেন যে নতিবিদ্যা নীতিবিদ্যা ধর্ম ছাড়া চলতে পারে না। অর্থাৎ তাঁরা ধর্ম এবং নীতিবিদ্যাকে স্বতন্ত্র হিসাবে স্বীকার না করে বরং নীতিবিদ্যাকে ধর্মের অধীনস্থ করেন।

আধুনিক ঈশ্বরবাদীদের কেউ কেউ মনে করেন যে, ঈশ্বর মঙ্গলময়, সুতরাং তিনি কোন খারাপ ও অন্যায় কাজ অনুমোদন করতে পারেন না। সিঙ্গার ঈশ্বরবাদীদের এই ধারণার সমালোচনা করে বলেন যে, এর মাধ্যমে তারা নিজেরাই নিজেদের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়েছেন। কারণ, ‘ঈশ্বর মঙ্গলময়’ এই ধারণার অর্থ ঈশ্বর নিজেই নিজের কাজের অনুমোদনকর্তা। এভাবে সিঙ্গার প্রচলিত নীতিদার্শনিকদের সাথে একমত পোষণ না করে বলেন যে নীতিবিদ্যা এবং ধর্ম দুটি স্বতন্ত্র বিষয় ও ভিন্ন উদ্দেশ্যমুখী। এ প্রসঙ্গে সিঙ্গার বলেন, “ও ংযধষষ ঃৎবধঃ বঃযরপং ধং বহঃরৎবষু রহফবঢ়বহফবহঃ ড়ভ ৎবষরমরড়হ”.

চতুর্থত; প্রচলিত নীতিদার্শনিকগণ নীতিবিদ্যাকে আপেকি বা বিষয়ীগত বলে স্বীকার করেন। মার্কসবাদীরা এই বিষয়টির সমালোচনা করেন। তাঁরা মনে করেন যে, কোন সমাজের নৈতিকতা মানে সেই সমাজের কতর্ৃত্বশীল ধনিক শ্রেণীর নৈতিকতা এবং পরোভাবে তা ঐ সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। সিঙ্গার মার্কসবাদীদের সমালোচনা করে বলেন যে, সব নৈতিকতা যদি আপেকি হয় তাহলে সাম্যবাদের বিশেষত্ব কী? সুতরাং মার্কসবাদীরা বুর্জোয়া শ্রেণীর তুলনায় সর্বহারাদের প আবলম্বন করেন।

নীতিবিদ্যা কী: একটি অভিমত ঃ-

সিঙ্গার বলেন যে নীতিবিদ্যায় একটি অভিমত পাওয়া যায় এবং তা হল নৈতিক সিদ্ধান্তের েেত্র ভূমিকা আছে। তিনি মনে করেন না যে এটি নীতিবিদ্যায় একমাত্র সম্ভাব্য অভিমত বরং এটি আপাত দৃষ্টিতে অন্যতম একটি অভিমত। এই অভিমতকে ব্যবহারিক জীবনের সমস্যা সমাধানের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি নীতিদার্শনিক তত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। প্রাথমিকভাবে এই নীতিদার্শনিক তত্ত্বটি হচ্ছে ‘উপযোগবাদ’।

সিঙ্গার উপযোগবাদী ধঘারণাকে গ্রহণ করলেও তা চিরায়ত উপযোগবাদী ধারণা থেকে পৃথক। অর্থাৎ তিনি চিরায়ত উপযোগবাদী ধারণাকে সরাসরি গ্রহণ না করে বরং সংস্কার সাধনের মাধ্যমে উপযোগবাদী ধারণাকে গ্রহণ করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, তিনি উপযোগবাদী ধারণাকে গ্রহন করেন মূলত নীতিবিদ্যাকেজ সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উদ্ধার করে উদার, সার্বজনীন বা বিশ্বজনীন করে তোলার জন্য।

চিরায়ত উপযোগবাদের প্রবক্তা হলেন মিল ও বেন্থাম। তাঁদের উপযোগবাদী ধারণার মূল কথা হলো সর্বাধিক সুখ; কিন্তু সিঙ্গার উপযোগবাদীদের এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অর্থাৎ তিনি উপযোগবাদী মতবাদের এই ধারণার সংস্কার করে নতুনভাবে সাজাতে চান। তাই তিনি মনে করেন যে, উপযোগবাদীদেও সর্বাধিকের পরিবর্তে সবার ব্যবহার করতে হবে, উপযোগবাদীদের মূল কথা সুখ ঠিক থাকবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, সিঙ্গারের সংস্কার মতবাদটি হলো সর্বাধিক মানুষের সুখের পরিবর্তে, সকল মানুষের সুখ বাস্তবায়ন করা। তিনি মনে করেন যে এভাবে উপযোগবাদী ধারণা উপস্থাপিত হলে তা হবে বিশ্বজনীন ও সার্বজনীন।

সিঙ্গার চিরায়ত উপযোগবাদী ধারণার সংস্কার সাধন করে এর নাম দেন সুসংহত উপযোগবাদ।এই সুসংহত উপযোগবাদকে তিনি নীতিবিদ্যায় প্রয়োগ করেন। তবে তিনি এই সুসংহত উপযোগবাদী ধারণার ভিত্তিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রচলিত

উপযোগবাদের সাথে নিম্নলিখিত তিনটি বিষয় যুক্ত করেন:

ক. অধিকার সমূহের মতবাদ,
খ. ন্যায়পরায়ণতার মতবাদ এবং
গ. জীবনের পবিত্রতার মতবাদ।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “I shall try to show the bearing of other views, of theories, of justice, of the sanctity of life, and so on ….”.

সিঙ্গার উপরে তিনটি বিষয়কে প্রচলিত উপযোগবাদী ধারণার সাথে সংযুক্ত করে নতুন উপযোগবাদী মত প্রদান করেন। তাঁর এই নতুন উপযোগবাদী মতবাদের নাম ‘নব্য-উপযোগবাদ’।

প্রচলিত নীতিবিদ্যার সাথে ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার পার্থক্য ঃ- প্রচলিত ও ব্যবহরিক নীতিবিদ্যার পার্থক্য আলোচনা করার পূর্বে আমরা এদের সাদৃশ্য আলোচনা করব।

সাদৃশ্যসমূহ ঃ- উভয় নীতিবিদ্যার েেত্র কতিপয় সাদৃশ্য ল্য করা যায়। যেমন:

প্রথমত: প্রচলিত ও ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা উভয়ের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হল মানুষ।কিন্তু ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা মানুষ ব্যতীত মানুষের সমগুন সম্পন্ন অন্যান্য প্রাণী নিয়েও আলোচনা করে।

দ্বিতীয়ত: প্রচলিত নীতিবিদ্যা ও ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা উভয়ই উপযোগবাদকে মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করলেও ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার উপযোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত উপযোগবাদ থেকে ভিন্ন।

বৈসাদৃশ্যসমূহ ঃ-

প্রচলিত ও ব্যবহারিক নীতিবিদ্যায় সাদৃশ্য থকলেও এদরে মধ্যে পার্থক্য পরিলতি হয়। নিম্নে এদরে পার্থক্যগুলো আলোচনা করা হল ঃ-

প্রথমত: প্রচলিত নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালত্ব, মন্দত্ব, ঔচিত্য, অনৌচিত্য নিয়ে আলোচনা ও মূল্যায়ন করে থাকে। পান্তরে, ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা মানুষ ও মানুষের সমগুন সম্পন্ন অন্যান্য প্রাণীর আলোচনাকেও অন্তর্ভুক্ত করে।

দ্বিতীয়ত: প্রচলিত নীতিবিদ্যা আদর্শনিষ্ঠ এবং বর্ণনামূলক এই দুই ধরণের হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার এমন কোন বিভাগ বা প্রকারভেদ র্য করা যায় না।

তৃতীয়ত: প্রচলিত নীতিবিদ্যাকে অনেকেই ধর্মেও সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে। অন্যদিকে, ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা ধর্ম থেকে স্বধীন ও স্বতন্ত্র।

চতুর্থত: প্রচলিত নীতিবিদ্য কেবল তাত্তি্বকভাবেই মহৎ কিন্তু ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা মানুষের দৈনন্দিন কার্যপ্রণালী/ ব্যবহারিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে।

পঞ্চমত: প্রৃচলিত নীতিদ্যিার আলোচনা কেবল মানুষ কেন্দ্রিক। তাই এই নীতিবিদ্যার দৃষ্টিভঙ্গি হলো সংকীর্ণ। অন্যদিকে, ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা মানুষ ও মানুষের নিকটবতর্ী সমগুণ সম্পন্ন প্রাণীকেও আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করায় এর দৃষ্টিভঙ্গি বৃহত্তর।

ষষ্ঠত: প্রচলিত নীতিবিদ্যা যৌনতা বিষয়ক আলোচনাকে নৈতিক সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করে। পান্তরে, ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা যৌনতা বিষয়ক আলোচনাকে নৈতিক সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করে না।

সপ্তমত: প্রচলিত নীতিবিদ্যাকে সেকেলে নীতিবিদ্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অন্যদিকে, ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা হলো সমকালীন নীতিবিদ্যা।

অষ্টমত: প্রচলিত নীতিবিদ্যা মানুষকে মানুষ হিসেবে গ্রহণ করে। পান্তওে ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা মানুষকে ব্যক্তি হিসাবে গ্রহণ বরে।

নবমত: প্রচলিত নীতিবিদ্যা সার্বজনীন ও বিশ্বজনীন নয় কিন্তু ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা হলো সার্বজনীন ও বিশ্বজনীন।

উপসংহার ঃ-

পরিশেষে আমরা এর ব্যবহারিক নীতিবিদ্যার আলোচনাকে দুটি দৃষ্টিভঙ্গিতে পর্যালোচনা করতে পারি। এদের একটি নেতিবাচক এবং অপরটি ইতিবাচক। নেতিবাচক দিকটি হলো নীতিবিদ্যা যা নয় আর ইতিবাচক দিকটি হলো নীতিবিদ্যা কী: একটি অভিমত। সিঙ্গার উপযোগবাদী ধারণাকে গ্রহণ করেন নীতিবিদ্যাকে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উদ্ধার করে সার্বজনীন, বিশ্বজনীন, উদার ও বৃহত্তর করে তোলার জন্য। তিনি যে উপযোগবাদী ধারণাকে গ্রহণ করেন তা চিরায়ত উপযোগবাদী ধারণা থেকে পৃথক। সিঙ্গার মনে করেন যে, উপযোগবাদকে এই বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করলেই কেবল আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সামাজিক সমস্যা-সমাধানের পথ খুঁজে পাব।

Leave a Comment