হেলমেট ব্যবহার করতে বিরক্ত লাগে? এবার অদৃশ্য হেলমেট দিয়ে নিরাপদে বাইক চালান

বাইক চালানোর সময় নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করতে হয়। তবে অনেকের কাছে ব্যাপারটা ভাল লাগে না। ফলে দূর্ঘটনার শিকার হয় অহরহই।

তাই বলে মাথা আঘাত নিয়ে জুয়া খেলা? হেলমেট যেহেতু পড়তেই হবে তাই অসাধারণ ডিজাইনের ইনভিজিবল বা অদৃশ্য হেলমেট পড়ুন। দুই সুইডিশ আবিস্কারক ইনভিজিবল হেলমেট তৈরি করেছে যাকে বলা হয় Hövding। এটা প্লাস্টিকেরও নয় অনেকটা কলারের মতো যা শীতের দিবে সাধারণত পড়তে দেখা যায়। কলারের মতো দেখতে এই এয়ারব্যাগ ঢাকনা আপনাকে দূর্ঘটনার হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা করতে সক্ষম হবে।

এটা কাজ করবে চার্জের মাধ্যমে। অর্থাৎ চার্জার ব্যাটারির মাধ্যমে এটা চলবে। গতির চাপের উপর নির্ভর করে এয়ার ব্যাগ মাথার চারপাশ ঢেকে দিবে বাইক চালকের।

এই এয়ারব্যাগ তৈরি করা হয়েছে কোল্ড হিলিয়াম ইনফ্লাটর দিয়ে যা কলারে থাকে। আর এই হেলমেট অনেকটাই মটোর সাইকেল হেলমেটের মতো। তবে এই হেলমেট শুধুমাত্র বাই সাইকেলের জন্য অন্যান্য যেমন স্কেটবোর্ড,স্কেটের জন্য নয়।
বিস্তারিত দেখুন এই ভিডিওতে।

আপনার গায়ে লাগবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করছেন? না সমস্যা নেই। এটার সব রকম সাইজে পড়ার ব্যবস্থা আছে। হেলমেটে “ব্ল্যাক বক্স” নামের একটা যন্ত্র রয়েছে যেখানে দূর্ঘটনা ঘটার আগের ১০ সেকেন্ডের ডাটা রেকর্ড করে রাখবে। যদি আপনি বাইক দূর্ঘটনার শিকার হোন তাহলে ব্ল্যাক বক্স তাদেরকে পাঠাতে পারেন যেন তারা এটা নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। এছাড়া পরেরবার হেলমেট ক্রয় করতে ছাড়ও পাবেন।

এটার দাম হলো ৬০০ ডলার! দাম বেশি হলেও নিজের নিরাপত্তার সাথে জড়িত। ধবংস হয়ে গেলে আবার রিপ্লেসমেন্টও পাবেন। 🙂

কি কিনবেন নাকি এমন হেলমেট? আমার মনে হয় ঢাকা শহরে চলাফেরা করতে এমন হেলমেটের বিকল্প নেই। গাড়ির পাশা পাশি কখন কোথা থেকে কি এসে মাথায় পড়ে তার ঠিক নাই কোন। 😛 তবে দামের কথাও চিন্তা করা লাগবে। এই দামে একটা সাইকেলই কিনা যায়।

আপনার মতামত কি মন্তব্যে জানান। 🙂