ড্রুপালের ইতিহাস !!! ( পর্ব-২)

২০০০ সালের দিকে Antwerp ইউনিভার্সিটিতে স্থায়ী ইন্টারনেট কানেকশন দেয়া হয়।  যা কিনা ছিল প্রিমিয়াম। অর্থাৎ টাকা দিয়ে নেট ব্যবহার করতে হবে সেখানে।Hans নিজে ইন্টারনেট সেখান থেকে নিয়েছিল। এরপর Dries Buytaert এবং  Hans Snijder একটা ওয়্যারলেস ব্রিজ তৈরি করেন যাতে আরও ৮ জন বন্ধু তাদের Hans এর ADSL মোডেম কানেকশন ব্যবহার করতে পারে ফ্রী তে। কারন সেই সময় নেট ব্যবহার করা ছিল অনেক রাজকীয় ব্যপার এর মতো 😛

এই সেই Antwerp ইউনিভার্সিটি।

পরে Hans এর এই উদ্যোগ দেখে Dries নিজেও কিছু দেখাতে চেয়েছে সবাইকে 😛 আর তাই সে একটা নিউজ সাইট তৈরি করার চিন্তা করেন। এবং তিনি এইটা তার তৈরি ওয়েব  বোর্ডের মাধ্যমে করেন 🙂 সেই নিউজসাইট এ তাদের ঐ ৮ জন ফ্রেন্ড এর গ্রুপ বিভিন্ন কিছু শেয়ার করবে যেমন রাতের খাবার কি করসে। অথবা কে এক্সাম এর প্রস্তুতি কেমন নিয়েছে ইত্যাদি XD

Dries তখনও তার এই সফটওয়্যার বা ওয়েব বোর্ডের নাম দেননি। পরে গ্রাজুয়েশন করার পর সে ভাবল এখন তো তারা আর ইউনিভার্সিটিতে থাকবে না তাই তাদের একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে যাতে তারা এই ১০জন ফ্রেন্ড একে অপরের কাছে থাকতে পারে। আর তাই Dries একটা ডোমেইন খুজতে থাকে নেট এ । তিনি এরপর drop.org নামের ডোমেইনটা কিনে নেন। পরে এইটাই হয়ে উঠে তাদের ব্যক্তিগত পরীক্ষা কেন্দ্র। যেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চালায় ওয়েবসাইট এর উপর। তারা ওয়েবসাইটকে কিভাবে সফটওয়্যার দিয়ে চালাতে পারবে সেই নিয়েই মূলত এখানে গবেষণা করে।

এই হচ্ছে Dries. বিখ্যাত ড্রুপাল এর প্রতিষ্ঠাতা 😀

পরে ২০০১ সালে, Dries তাদের drop.org সাইট এর প্রথম সফটওয়্যার বের করলো যার নাম দিল ড্রুপাল। এইটার মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্যরাও যাতে চালাতে পারে এবং সবাই মিলে খুব তারাতারি এইটার উন্নয়ন এ অংশগ্রহন করতে পারে। এবং তার এই কাজে পরে অনেক লোক হাত দিল। Dries ড্রুপাল কে করে দিয়েছিল ওপেন সোর্স। অর্থাৎ এর সোর্স কোড সবার কাছে উন্মুক্ত । আর তাই বিভিন্ন ডেভলপার এইটা নিয়মিত আরও পাওয়াফুল সিএমএস বানাচ্ছে 😀

আজকের পর্ব এই পর্যন্তই। এরপরের পর্বে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা এবং ড্রুপাল এর তুলনামুলক পার্থক্যগুলো দেখবো 😀

1 thought on “ড্রুপালের ইতিহাস !!! ( পর্ব-২)”

Leave a Comment