ব্লগারের বদভ্যাস

ব্লগিং এ আমার নিজেরও কিছু বদভ্যাস আছে । প্রথমদিকে হাতের লেখা অনেক খারাপ ছিল। এখন কিছুটা ভালদিকে যাচ্ছে। আমি নিজে ব্লগে কয়েক বছর থাকার কারনে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি । আশা করি এ বিষয়ে আপনাদের সাথে পাব।

১. মন্তব্য বন্ধ রাখা

একটি বিষয়ে আপনি কিছু বললেন অথচ অন্য কাউকে বলতে দিলেন না তাই কি হয়? এ বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা চলুক। তাই মন্তব্য বন্ধ করলে আপনার শ্রোতারা আপনার প্রতি বিরক্ত হতে পারে।

২. লিঙ্ক প্রদর্শন

কিছু কিছু ব্লগার লিঙ্ক সম্পর্কে কিছু বলার জন্য আসে। তাদের দেখলেই চেনা যায়। অবশ্য কিছু শ্রোতাও এটা পছন্দ করে। আমি নিজে মনে করি যাদের কিছু বলার নাই তারা লিঙ্ক সম্পর্কে বলে।

৩. নিজের সম্পর্কে না জানানো

নিজের বয়োগ্রাফীটা পূর্ণ করুন। নিজের তথ্যগুলো সবাইকে জানালে পরিবেশটি আরও আন্তরিক হয়। আর পরিবেশ যত আন্তরিক হবে তত বেশি ভিজিটর পাবেন।

৪. নিজের এভাটার প্রদর্শন না করা

অনেকে নিজের ছবিটি ব্লগে প্রদর্শন করতে চায় না। যারা নিজের ছবিটি প্রকাশ করতে না চায় তারা অন্য একটি এভাটার যেমন-কার্টুন বা ফটোশপে ইফেক্ট দিয়ে ঝাপসা করে প্রকাশ করতে পারেন।

৫. কিছু লিখতে পারছি না এ কথা বলা

আপনি হয়তো গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যস্ততার জন্য কেন পোস্ট লিখতে পারছেন না। তো. ব্লগে এসেই বললেন গত এক সপ্তাহ ধরে অমুক অমুক কাজে ব্যস্ততার জন্য কিছু লিখতে পারি নি। আর এই সব হিজিবিজি লিখেই পোস্ট করে দিলেন। এটা ভাল ব্লগারের কাছে কাম্য নয়।

৬. বড় করে প্যারাগ্রাফ লেখা

কয়েক জন ভাল ব্লগার দেখেছি যাদের লেখার মান অনেক ভাল তবে তারা একটি প্যারাতে এত বেশি কথা বলে যে পাঠক তাল হারিয়ে ফেলে। একটা কথা মনে রাখতে হবে- বই পড়ার মতো করে কেউ ব্লগ পড়ে না তাই লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে হবে।

৭. আরএসএস লিঙ্ক প্রদর্শন না করা

অনেক পাঠক নিয়মিত আপনার পোস্ট পড়তে চাইবে সে আপনার আরএসএস ফিড সাবক্রইব করতে চাইবে বা ই-মেইলে পড়তে চাইবে আপনার লেখা । তার জন্য লিঙ্ক উম্মুক্ত না রাখাটা বোকামী।

৮. প্রকাশিত ব্লগটি পূনরায় না পড়া

আমি নিজেও অনেক সময় প্রকাশিত পোস্টি পূনরায় পাঠ করি না, বা করতে সময় পাই না। এখন অবশ্য এই অভ্যাস ত্যাগ করেছি। যাই হোক প্রকাশিত ব্লগটি পাঠকের মতো করে পড়লে অনেক ভুলই ধরা পড়বে।

৯. খবর প্রকাশ

অনেক ব্লগার সংবাদ পত্র থেকে খবরটুকু কপি করে প্রকাশ করে আর ভাবে বেশ কাজের কাজ করেছি। একটি কথা ভাবুন, আমরা ব্লগাররা ব্লগ লিখে তেমন একটা আয় করতে পারি না বা করি না। অথচ সংবাদ কর্মীরা বেশ ভাল একটি টাকা পায় তাদের লেখা থেকে। তাদের লেখা কপি করে কি লাভ? যেখানে আপনার নিজের কিছু বলার নেই।

১০. ব্লগকে বেশি ভালবাসা

অনেক ব্লগারই অনেক রাত জেগে ব্লগ লিখেন। পরের দিন তার নিয়মিত কাজগুলো এলো মেলো হয়ে পরে। কাজের চাপে অনেকে ছুটি কাটায় না। ভ্রমনেও যায় না। কী বোর্ডের কী প্রেস ছাড়া যেন পৃথিবীতে আর কোন ভাল কাজ নেই। ভ্রমনে গিয়ে অনেক নতুন নতুন আইডিয়ার জন্ম হতে পারে।

আমি মনে করি এ দোষের অনেকগুলোই আমার মধ্যে আছে তাই আমি এ কথাগুলো এত দ্রুত বলতে পারলাম। সবার মতামত চাইছি এ ব্যাপারে। ধন্যবাদ সবাইকে।

8 thoughts on “ব্লগারের বদভ্যাস”

  1. সবেমাত্র দু চারটি পোষ্ট লিখেছি।আসলে আমার জানা নেই যে ঠিক কত গুল লিখা লিখলে বা লিখার মান কতটুকু ভাল হলে নিজেকে ব্লগার বলাযায়।তবে নিজেকে একজন ব্লগার হিসেবে পরিচয় দেবারমত সাহস এখনো হয়নি। তার পরেও দেখলাম এখানে উল্লেখিত বেশিরভাগ বদভ্যাস আমার রয়েছে।

    1. @নিঝুমদ্বীপ, এই বদঅভ্যাসগুলো আমার মধ্যেও প্রচন্ড রকমের ছিল। এখন অনেকটা মডারেট হয়েছি। এখনো যে নাই তা বলতে সাহস পাই না। আশা করি ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবেন। এতগুলো মতামত দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ,আপনাকে।

  2. ভাইয়া আমার ব্লগে আমি কি নিয়ে লিখব তা
    বুঝে উঠতে পারছি না।
    কিভাবে নতুন আইডিয়া তৈরি করা যায়।
    আপনি নতুন আইডিয়া কিভাবে পান?
    সংবাদ পত্র থেকে আইডিয়া নিয়ে
    লিখলে ভাল করা যাবে নাকি নিজের
    জীবন থেকে নিয়ে লিখব?

  3. @meghmala :

    ব্লগারদের মধ্যে সবচেয়ে যে সমস্যাটা দেখা যায় তা হলো নিয়মিত লেখালেখির জন্য উপাদান পাওয়া। অনেক সময় এমন হয় যে লেখার একটি বিষয় পাওয়া গেল কিন্তু সময় হলো না, আবার কখনো সময় হাতে নিয়ে বসে থেকেও কোন বিষয় নিয়ে লেখা যায় তা খুজে পাওয়া যায় না। আবার অনেক সময় একটি বিষয়ে কিছুক্ষন লেখার পরে মনে হয় এই লেখাটি আর শেষ করা হবে না । এরকম একশরও বেশি বিষয় আছে যা শুরু করে শেষ পর্যন্ত শেষ করতে পারি নাই। তবুও গত মাসে (জুলাই ২০১০) ৩০ টির মতো বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে মজার বেপার হলো খুব কম সময়ই লিখতে ব্যয় হয়েছে- লেখার চেয়ে পাচঁগুন সময় ব্যায় করেছি পড়তে। নতুন কোন আইডিয়া পেতে নিচের পদ্ধতি গুলো দেখতে পারেন।

    বিস্তারিত: http://www.bigganprojukti.com/post-id/2585

  4. বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে, তথ্য নিয়ে তা সংগ্রহ করি ও সম্পাদনা করি। তার পরে তা পোষ্ট করি, কোন সমস্যা হবে?

  5. shemul49rmc কেঃ আমার মনে হয় তেমন কোন সমস্যা হবে না .. তবে লাভও যে বেশি হবে না তাও বলতে পারি। নিজের মতো করে লিখতে পারলে ও নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য থাকলে সার্চ ইঞ্জিনের বাবারও ক্ষমতা নেই যে আপনার লেখাকে কপি পেষ্ট মনে করবে। তবে যাদের লেখা থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাদের লিংক দিবেন, তাতে আপনার লেখার মান বাড়বে.. যদিও আনেকে মনে করে কমবে..।

Leave a Comment